Public | 23-Sep-2025

নীরব বিচ্ছেদ আসলে কি?

নীরব বিচ্ছেদ আসলে কি?
বিবাহ বিচ্ছেদের চেয়েও ভয়ানক হলো নীরব বিচ্ছেদ।

এটা এমন একটি অবস্থা যেখানে স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কিন্তু সামাজিকভাবে বা আইনত তারা বিবাহিত থাকেন। ওই পরিস্থিতি দুটি মানুষ একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও তাদের মধ্যে কোনো মানসিক সংযোগ, আবেগিক আদান-প্রদান বা পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকে না। এটি প্রচলিত বিবাহবিচ্ছেদের মতো কোনো আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি সম্পর্কের একটি অদৃশ্য ভাঙন।

সাইলেন্ট ডিভোর্সের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

১. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অর্থপূর্ণ কথোপকথন একেবারেই কমে যায়। তারা দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ে কথা বললেও আবেগিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো আলোচনা থাকে না।
 
২. একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি বা আগ্রহের অভাব দেখা যায়। কোনো পক্ষই অন্যজনের অনুভূতি বা প্রয়োজন নিয়ে মাথা ঘামায় না।
 
৩. দম্পতিরা ইচ্ছাকৃতভাবে একে অপরের সাথে সময় কাটানো এড়িয়ে চলেন। তারা নিজেদের আলাদা রুটিন তৈরি করে নেন এবং যার যার নিজস্ব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

৪. শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি মানসিক দূরত্বের একটি বড় প্রতিফলন।

৫. ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং কেউ ক্ষমা চাইতে বা বিষয়টি মিটমাট করতে আগ্রহী হয় না।
 
৬. দম্পতিরা একসাথে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন না। প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও স্বপ্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
 

৭. একে অপরের সফলতা বা ব্যর্থতায় কোনো রকম আগ্রহ বা অনুভূতি প্রকাশ পায় না।

অনেক কারণে সাইলেন্ট ডিভোর্স হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো:
 
১. ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধান না হয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকলে তা বড় ধরনের মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।
 
২. স্বামী বা স্ত্রী একবার বিশ্বাস ভঙ্গ করলে সেই বিশ্বাস পুনরায় ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়ে, যা নীরব বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেয়।

৩. সন্তান লালন-পালন বা আর্থিক বিষয় নিয়ে তীব্র মতবিরোধ থাকলে তা সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।

৪. সঙ্গীর বাবা-মা এবং পরিবারকে আপন করে নিতে না পারা সম্পকর্কে আস্তে আস্তে শিথিল করে দেয়।
 
৫. অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা বা সঙ্গীকে সস্তা মনে করে তাকে সময় না দেওয়াটাও নীরব বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ।

৬. অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারা বা একে অপরের কথা শুনতে না চাওয়া দুজনের মধ্যে একধরনের মানসিক দূরত্ব তৈরি করে যা ধীরে ধীরে দুজনকে দূরের মানুষ করে তোলে।

সাইলেন্ট ডিভোর্সের প্রভাব শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি পুরো পরিবার, বিশেষ করে সন্তানদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে একাকিত্ব এবং হতাশা অনুভব করেন। বাবা-মায়ের এই নীরব বিচ্ছেদ দেখে সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং তাদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়। তারা ভুল ধারণা নিয়ে বড় হতে পারে যে, সম্পর্কে ভালোবাসা বা আবেগ প্রকাশ করা অপ্রয়োজনীয়।
Follow Us Google News
View (1,604) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform


Warning: require_once(componet/people/profile-popular.php): Failed to open stream: No such file or directory in /home/fewljpkl/public_html/componet/people/profile-view.php on line 6

Fatal error: Uncaught Error: Failed opening required 'componet/people/profile-popular.php' (include_path='.:/opt/alt/php82/usr/share/pear:/opt/alt/php82/usr/share/php:/usr/share/pear:/usr/share/php') in /home/fewljpkl/public_html/componet/people/profile-view.php:6 Stack trace: #0 /home/fewljpkl/public_html/story.php(89): require_once() #1 {main} thrown in /home/fewljpkl/public_html/componet/people/profile-view.php on line 6